Contact Form

Name

Email *

Message *

Tuesday, January 23, 2024

কারা দ্বন্দে লিপ্ত হয়! ধর্ম চর্চা সংস্কার বৃদ্ধি করে সুখী হোন।

কারা দ্বন্দে লিপ্ত হয়! 

পৃথকজন যেখানে যায় সেখানে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়। পৃথকজন ভিক্ষু + পৃথকজন ভিক্ষু,  পৃথকজন দায়ক + পৃথকজন দায়ক, পৃথকজন দায়িকা + পৃথকজন দায়িকা, পৃথকজন ভিক্ষু + পৃথকজন দায়ক-দায়িকা ইত্যাদি। দ্বন্দের শেষ নেই, চলমান আছে!   দ্বন্দ্ব হয় কেন? অজ্ঞতার কারণে। 


পৃথকজনের স্বভাব হচ্ছে, তার মানসিকতার সাথে মিললে, সে সেটাকে নিয়ে খুশিতে আত্মহারা হবে, আর যদি না মিলে তাহলে রাগ ঝাড়বে, দ্বেষের চর্চা করবে। এটাইতো পৃথকজনের স্বভাব। 


তবে পৃথকজনের মধ্যে যারা জ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ,  বিদ্বান তারা দ্বন্ধে লিপ্ত হন না, তারা কারোর আলোচনা সমালোচনায়, নিন্দা প্রসংশায় বিচলিত হন না৷ কারণ, তারা ধীর হতে সক্ষম হয়েছেন।  তাই জ্ঞানী, বিদ্বান,  শাস্ত্রজ্ঞ হওয়াটা উত্তম। 


"লাভ অলাভ, যশ অযশ, নিন্দা প্রসংশা,  সুখ দুঃখ" এগুলোইতো জীবনের অংশ, এই অষ্ট লোকধর্ম না থাকলে মানুষ রোবর হয়ে যেত। তাই না? বুদ্ধ তাই মঙ্গল সূত্রে বলেছেন "ফুত্তস্স লোকধম্মেহি চিত্তং য়স্স ন কম্পতি।" কি চমৎকার, কি গম্ভীর সত্য কথা তিনি প্রকাশ করেছেন। তিনি লোকধর্মসমূহকে জেনেছেন, তাই এসবে বিচলিত না হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন।  


পৃথকজনের স্বভাব হচ্ছে প্রমত্ত, অপ্রমত্ত নই। সে তার ইচ্ছিত রূপ, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ না পেলে উন্মাদ হয়। তখন সে পিতামাতা, বন্ধুবান্ধব,  আত্নীয় স্বজন, গুরুশিক্ষক কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। এটাতো পৃথকজনের স্বভাব।  তাই নিজের উদ্মাদ মনকে দমন করতে হলে পড়তে হবে, দমনের চর্চা বা অনুশীলন করতে হবে। অনুশীলন না করলে কেউ দক্ষতা লাভ করে না বরং শুধু জানে কিন্তু দক্ষ নই। 


মৈত্রীর চর্চা করুন, মনকে কুলষিত করে এমন আলম্বন দেখলে, শুনলে, স্বাদ পেলে, গন্ধ পেলে, স্পর্শ পেলে মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, ঐসবে চিন্তা করবেন না। এসব সবকিছুই আলম্বন, আলম্বনই ব্যক্তিতে দুঃখে পতিত করে, তাই আলম্বন গ্রহণ করতে জানতে হবে। কারণ, "ফস্স পচ্চয়ো ৰেদনা, ৰেদনা পচ্চয়ো তণ্হা— আলম্বনে স্পর্শ হলে বেদনার উৎপত্তি হয়,  আর বেদনার উৎপত্তিতে দুঃখ।" তাই যেসব আলম্বন অকুশল সেগুলো গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, আর যেসব আলম্বন কুশল তা গ্রহণ করতে হবে। এতে মন শান্ত থাকবে, শান্তি পাবে। মনে রাখবেন, স্বীয় কর্মের ফল নিজেকেই ভোগ করতে হয়, অন্যর অকুশল সম্পাদনে গিয়ে নিজেও অকুশল করতে যাবেন না, তাহলে দুঃখ পাবেন। 


পৃথকজন নিজেকে দমন করেন শীল বা সৎনীতি আচরণের দ্বারা, আর আর্যপুদ্গলগণ মার্গদ্বারা। আমরা পৃথকজন আমাদের সৎচিন্তা, নীতি বা শীল দ্বারা নিজের মনে উৎপন্ন অকুশল চিন্তাগুলোকে দমন করা শিখতে হবে। তাতেই আমরা শান্তিতে অবস্থান করতে পারবো। 


আয়স্মা ৰিৰেকাজোতি 

২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ 

২৪.১০.২৩

য়ানগুন,  মিয়ানমার

0 comments:

Post a Comment

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের সফলতার চাবিকাটি- ধন্যবাদ পাঠকদের।