Contact Form

Name

Email *

Message *

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Wednesday, July 27, 2022

স্বর্গ কিংবা নরক আছে কি? 🙏বনভান্তে🙏

 স্বর্গ-নরক আছে কি নেই,,

এক সময় পূজ্য বনভান্তে নিজ আবাসিক ভবনে অবস্থান করছিলেন। সেই সময় শ্রদ্ধেয় বনভান্তের জনৈক বিশিষ্ট উপাসক এক প্রশ্নের সমাধানের জন্য বন বিহারে উপস্থিত হয়েছেন। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনান্তে তিনি বলেন, ভান্তে, স্বর্গ-নরক আছে কি নেই? অনুগ্রহ পূর্বক আমাকে বুঝিয়ে বললে খুবই সন্তুষ্ট হব। বনভান্তে বললেন, তুমি কি জ্ঞান চক্ষুতে দেখতে চাও, নাকি শুধু চর্ম চক্ষুতে দেখতে চাও?


 

স্বর্গ-নরক আছে। যদি তুমি জ্ঞান চক্ষুতে দেখতে চাও, তবে জ্ঞান চক্ষু উৎপন্ন কর। নিজে নিজেই দেখতে পাবে।

শাস্ত্রে উল্লেখ আছে চক্ষু পাঁচ প্রকার। যথা-

(১) চর্ম চক্ষু (২) দিব্য চক্ষু (৩) জ্ঞান চক্ষু (৪) সামন্ত চক্ষু (৫) বুদ্ধ চক্ষু

(১) চর্ম চক্ষুতে যাহা সম্মুখে প্রত্যক্ষ হয় তাহা মাত্র দর্শন করা যাই কিন্তু কোন কিছুতে আবৃত থাকলে যথার্থ দর্শন করতে অসমর্থ হই। কিন্তু অদেখা বস্তু কত কিছু যে রয়েছে তা আমরা চর্ম চক্ষুতে দেখতে পারি না। যেমন, ধরুন আপনি আমেরিকা, চীন, জাপানে কি হচ্ছে তা দেখতে অসমর্থ।

(২) দিব্য চক্ষু লাভ করতে হলে ধ্যান সাধনা করতে হয়। দিব্য চক্ষু দৃষ্টিতে আপনি শতযোজন দূরে কি হচ্ছে তা দেখতে সমর্থ।

(৩) জ্ঞান চক্ষুতে যেখানে দেখতে ইচ্ছা হয় সেখানে দেখা যায়। স্বর্গ নরক এমনকি একত্রিশ লোকভূমি পর্যন্ত দেখা যাই। এইগুলো ধ্যান-সাধনার মাধ্যমে আয়ত্ব করতে হবে।

(৪) সামন্ত চক্ষুতে সম্যক সম্বুদ্ধের ধ্যান-চিত্ত সম্বন্ধে জানা যায়। যেমন, অনুরুদ্ধ স্থবির সামন্ত চক্ষু বিশিষ্ট ছিলেন। ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের সময় শত সহস্র অর্হৎ মার্গফল লাভী ভিক্ষু ছিলেন। সবাই দিব্য চক্ষু, জ্ঞান চক্ষু প্রাপ্ত কিন্তু কেউ তথাগত বুদ্ধের ধ্যান চিত্তের গতিবিধি অবগত নয় অর্থাৎ তাদের সেই সামন্ত চক্ষুর দৃষ্টি জ্ঞানটুকু নেই।(বিস্তারিত দীর্য় নিকায় ২য় খন্ড,মহাপরিনির্বাণ সূত্রে উল্লেখ আছে)


 

(৫) বুদ্ধ চক্ষুতে দশ সহস্র চক্রবাল(একত্রিশ লোক ভূমিতে এক চক্রবাল) সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে অবগত হওয়া যায়।

সুতরাং, তোমার জ্ঞান চক্ষু উৎপন্ন করার প্রয়োজন।আপনি জ্ঞান চক্ষু উৎপন্ন করুন, নিজেই আপনি সমাধান পেয়ে যাবেন। জ্ঞান-চক্ষুতে অবিদ্যা,তৃষ্ণা ধ্বংস হয় এবং যাবতীয় দুঃখ হতে মুক্তি হওয়া যায়। শ্রদ্ধেয় বন ভান্তের ধর্ম দেশনা শ্রবণ করে উক্ত বিশিষ্ট উপাসক অত্যান্ত সন্তুষ্টচিত্তে চলে যান।

উল্লেখ্য যে, শ্রদ্ধেয় বনভান্তে একদিন আমাকেও বলেছিলেন-চোখখোলা অবস্থায় তেমন কিছু দৃষ্টি

ভারতীয় সংঘরাজ পণ্ডিত ধর্মাধার মহাথেরকে স্মরণ —————————————————————- আজ তাঁর ১২১তম জন্ম বার্ষিকী।

ভারতীয় সংঘরাজ পণ্ডিত ধর্মাধার মহাথেরকে স্মরণ করছি।



আজ তাঁর ১২১তম জন্ম বার্ষিকী। এ ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের জন্ম ২৭ জুলাই ১৯০১খ্রি. চট্রগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ধর্মপুর গ্রামে । পিতা হরচন্দ্র বড়ুয়া ও মাতা প্রাণেশ্বরী দেবী। তিনি ১৯১৪ খ্রি. ২৬ জুন পিতার সাপ্তাহিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে ধর্মকথিক মহাস্থবিরের নিকট প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। প্রব্রজ্যা গ্রহণের পর হতেই অনেক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান এবং ভিক্ষু সংঘের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধন , অধ্যয়ন এবং অধ্যাপনা এই মহাপণ্ডিত জ্ঞানতাপসের জীবনের ব্রত ছিল। তিনি ১৯৬৫খ্রি. থেকে দীর্ঘ কয়েক বৎসর ধরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত। তাঁর লিখিত অনুবাদিত বই-ধম্মপদ( সমূল বঙ্গানুবাদ), মধ্যম নিকায় (দ্বিতীয় খণ্ড), বৌদ্ধ দর্শন, শাসনবংশ, সদ্ধর্মের পুনরুত্থান, মিলিন্দ প্রশ্ন, অধিমাস বিনিশ্চয়, বর্ষাবাস বিভ্রাট, বুদ্ধের ধর্ম ও দর্শন ইত্যাদি। শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধের রচয়িতা।

পণ্ডিত ধর্মাধারের নিরলস সাধনা , শাস্ত্রচর্চা ও বহুমূখী কর্মধারা বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধতর করেছে। 

এ মহাপণ্ডিতকে আজকের দিনে স্মরণ করছি।

Tuesday, July 26, 2022

☸️ ত্রৈ-মাসিক বর্ষাবাস'র তৃতীয় উপোসথ ☸️ (আগামীকাল) 💠 ২৫৬৬ বুদ্ধাব্দের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের তৃতীয় উপোসথ শুভ অমাবস্যা তিথি, ২৭ জুলাই ২০২২, রোজঃ বুধবার। 🔰 মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তাহাই ধর্ম। যে ধর্ম পালন করতে গিয়ে মানুষের অকল্যাণ করিতে হয়, তাহা ধর্মের কুসংস্কার মাত্র। মানুষের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ নয়। - (গৌতম বুদ্ধ)

 ☸️ ত্রৈ-মাসিক বর্ষাবাস'র তৃতীয় উপোসথ ☸
                     (আগামীকাল)



💠 ২৫৬৬ বুদ্ধাব্দের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের তৃতীয় উপোসথ শুভ অমাবস্যা তিথি, ২৭ জুলাই ২০২২, রোজঃ বুধবার।


🔰 মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তাহাই ধর্ম। যে ধর্ম পালন করতে গিয়ে মানুষের অকল্যাণ করিতে হয়, তাহা ধর্মের কুসংস্কার মাত্র। মানুষের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ নয়।


- (গৌতম বুদ্ধ)

Sunday, July 24, 2022

বুদ্ধ ও কাশি ভারদ্বাজ ব্রাম্মণ- বাইন্যাছোলা মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার।

🌸 বুদ্ধ ও কাসি ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ 

🏵️ বুদ্ধ কিরুপ কৃষক ছিলেন 




🍂 মগধরাজ্য দক্ষিণগিরি একনালা নামক গ্রামে তথাগত বুদ্ধ বাস করতেন। সেই সময় গ্রামের কাসি ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ তার কৃষিজমিতে পাঁচশত লাঙ্গলের মাধ্যমে বৃষজোড়া দিয়ে হালচাষ করতেছিলেন। 


🍂 সেদিন বুদ্ধ ঠিক চাষীদের খাবার গ্রহণের আগে পাত্র নিয়ে উপস্থিত হলেন। ভারদ্বাজ বুদ্ধকে দেখে বললেন, আমরা কর্ষণ করে বীজ বপনে খাদ্য-শষ্য উৎপাদন এবং যোগাড় করি। আপনিও আমাদের মতো হালচাষ করে জীবিকার্জন করুন। বুদ্ধ উত্তরে বললেন, হে ব্রাহ্মণ আমিও কর্ষণ ও বীজ বপনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করি। খাদ্যশস্য উৎপাদন ও সংগ্রহ করি। তিনি আরো বললেন- 

শ্রদ্ধা হল আমার বীজ

সাধনা হল আমার বৃষ্টি 

প্রজ্ঞা হল আমার যুগল ও লাঙ্গল 

বিনয় হল আমার ঈষ বা ফলা

মন হল আমার জোয়াল বন্ধনী

স্মৃতি হল আমার ফাল ও লাঠি

সংযম হল আমার দুঃখমোচন 

বীর্য হল আমার বলবান বৃষযুগলের ন্যায় যা নির্বাণ পথে উপনীত করে। শ্রমণ গৌতম! এমন এক কৃষক যা অমৃতফল প্রদায়ী কৃষিক্ষেত্রে চাষ করে। ব্রাহ্মণ সন্তুষ্ট হয়ে বুদ্ধকে পাত্রে খাদ্য দিতে চাইলে বুদ্ধ তাকে পরামর্শ দেন, গাথা আবৃত্তি করে যা লাভ হয় তা ভোজনযোগ্য নয়, সম্যক দর্শনকারির পক্ষে এই ভোজন গ্রহণযোগ্য নয়, ধর্মচারি ব্যক্তিগণের এটাই স্বভাব। 

ভারদ্বাজ জিজ্ঞেস করলেন তবে এই পায়েস, খাদ্য কাকে দেবো?


বুদ্ধ উত্তরে, মনুষ্যলোক, দেবলোক, ব্রহ্মলোক, মারলোক, শ্রমণ, ব্রাহ্মণ দেবমানবের তথাগত, শ্রাবক ব্যতিত কেউ নেই এই ভোজন হজম করার সক্ষমতা নেই। তাই এমন স্থানে পুতে রাখুন অথবা প্রাণীহীন জলে ঢেলে দিন। ব্রাহ্মণ তাই করলেন। সেই খাদ্য পানিতে ঢেলে দেয়ার সাথে চিট চিট করে পানি থেকে ধোয়া কুণ্ডলী পরিব্যাপ্ত হতে লাগল। মধ্যহ্নের সময় যেভাবে তপ্তলৌহ পানিতে নিক্ষেপে ধোয়াকুণ্ডলী বের হয় সেরুপ পায়েস জলে ধোয়া নির্গত হয়। 


ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ এই আশ্চর্য, অভিভূত দৃশ্য দেখে বুদ্ধকে বললেন, শ্রমণ গৌতম আমি আপনার শরণ, প্রচারিত ধর্ম ও শ্রাবকসংঘের শরণ নিচ্ছি। 🍂  দয়াকরে আমাকে প্রব্রজ্যা প্রদান করুন। অতপর বুদ্ধ ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণকে প্রব্রজ্যা দান করলেন। নব প্রব্রজিত ভারদ্বাজ নির্জন, অপ্রমত্ত, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সত্যান্বেষী হয়ে অনাগারিক জীবনে সম্যকরুপ উপলব্ধি করে ইহজীবনের যাবতীয় কৃতকর্মে শেষ করে অর্হত্ত্ব মার্গফলে প্রতিষ্ঠিত হলেন।


🙏 খুদ্দক নিকায়, সুত্তনিপাত🙏

Saturday, July 16, 2022

বৃক্ষ তোমার নাম কি

 🎋হে বৃক্ষ তুমি!



🍂 জীবনের শ্বাস দাও তুমি

🍂 শুরু থেকে শেষ

🍂 মানবের তরে তুমি

🍂 করে যাও জীবন দান।


🍂 আজি তোমার থেকে

🍂 শিক্ষা নিয়ে

🍂 অভাগা এ মানবকূল

🍂 হয় না কেন তোমা সম

🍂 প্রত‌্যুপকার না চেয়ে

🍂 পরোপকার করুক সবাই।

Wednesday, July 13, 2022

শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন ও বর্ষাবাসিক চীবর দান

বাইন্যাছোলা মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন ও বর্ষাবাসিক চীবর দান।



অদ্য ১৩-০৭-২০২২খ্রীঃ রোজ বুধবার বাইন্যাছোলা মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন ও বর্ষাবাসিক চীবর দান করা হয়।


এ মহতী পূণ্য অনুষ্টানে স্বধর্ম দায়ক দায়িকাগণ সমাবেত প্রার্থনায় অংশগ্রহন ও ভিক্ষু শ্রামণদের বর্ষাবাসিক চীবর দান করেন। উক্ত অনুষ্টানে সভাপতি বাবু উদয়ন চাকমা, বাবু নন্দীকুমার চাকমা ও বাবু সুর্য়সেন চাকমা স্বধর্ম বক্তব্য প্রদান করেন।

বিহারধ্যক্ষ সকলকে তিনমাস বর্ষাবাসের শীল পালনের জন্য ধর্মীয় উপদেশ প্রদান করেন এবং আষাঢ়ী পূর্ণিমার গুরুত্ব তুলে ধরেন। 

🙏 সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্ত 🙏

Sunday, July 10, 2022

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদন হতে শিক্ষা সফর ২০২২খ্রীঃ

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদন হতে শিক্ষা সফর ২০২২খ্রীঃ, বাইন্যাছোলা, লক্ষীছড়ি, খাগড়াছড়ি।




গত ০৭-০৭-২০২২খ্রীঃ তারিখে মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনের উদ্যোগে একটি শিক্ষা সফর করা হয়। এসময় শিক্ষকবৃন্দ সহ সকলে উৎসব মুখর পরিবেশে পরিনত হয়। উল্লেখ্য, অত্র পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনটি ১৯৯৮ইং সন হতে স্থাপিত হওয়ার পর হতে অধ্যবধি পর্যন্ত ভরন পোষন, বিনাখরচে স্বেচ্ছাসেবী কাজে করে আসছে।