Contact Form

Name

Email *

Message *

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Monday, August 29, 2022

একুশে পদক প্রাপ্ত, শ্রদ্ধেয় ভান্তে!


🌱 একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত জ্যোতিঃপাল মহাথের স্মরণে

এই উপমহাদেশে ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে এ বঙ্গভূমিতে বাঙালির সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য, সাহিত্য সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করে দেশে- বহির্বিশ্বে শান্তির নির্মল সুবাতাস ছড়িয়ে অসামান্য অবদান রেখেছেন- তাঁদের মধ্যে বিশ্বনাগরিক, একুশেপদক প্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক পণ্ডিত জ্যোতি:পাল মহাথের অন্যতম। তিনি ছিলেন একাধারে সুলেখক, গবেষক, দার্শনিক, সাহিত্যিক, বিদর্শন সাধক, পরোপকারী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মানবতাবদী, থেরবাদী বৌদ্ধদের ১০ম সংঘরাজ, পন্ডিত জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা, বহু গ্রন্থের প্রণেতা, সুদেশক। এই ক্ষণজন্মা পন্ডিত জ্যোতিঃপাল মহাথেরোর কর্মময় জীবন দর্শন সম্পর্কে এই ক্ষুদ্র পরিসরে বিস্তারিত লেখা সম্ভব নহে। তবুও সুপ্রিয় পাঠকদের জানার সুবিধার্থে এখানে কিঞ্চিত তুলে ধরলাম।

মহামান্য সংঘরাজ পণ্ডিত জ্যোতিঃপাল মহাথের ১৯১৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার কেমতলী বরইগাঁও গ্রামীণ জনপদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৬ সালে প্রব্রজিত হন। ১৯৩৮ সালে উপসম্পদা লাভ করেন। তাঁর উপাধ্যায় ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাস্থ জোবরাপাড়া নিবাসী খ্যাতিমান সাংঘিক ব্যক্তিত্ব উপসংঘরাজ গুনালঙ্কার মহাথের। তিনি উপসম্পদা লাভের পর বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শনে জ্ঞান লাভের জন্য পালি সাহিত্য চর্চা ও বিদর্শন ধ্যান সাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে – কর্মতত্ত্ব পুগ্‌গল পঞ্‌ঞক্রতি, মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী, বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামে, বোধিচর্যাবতার, সাধনার অন্তরায়, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, সৌম্য সাম্যই শান্তির কারণ, প্রজ্ঞাভূমি নির্দেশ, ভারতে বৌদ্ধধর্মের উত্থান পতন, চর্যাপদ, বুদ্ধের জীবন ও বাণী, উপসংখরাজ গুর্ণালংকার মহাস্থবির, রবীন্দ্র সাহিত্যে বৌদ্ধ সংস্কৃতি, ভক্তি শতকম ইত্যাদি। তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, উপাধি ও পদবী। তন্মধ্যে এশীয়ান বুড্ডিস্ট কনফারেন্স ফরপিস কর্তৃক এশীয়া শান্তিপদক, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক ‘অগ্‌গমহাসদ্ধম্ম জ্যোতিকাধ্বজ’, সদ্ধর্ম রক্ষায় বিরল অবদানের জন্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক ১৯৭৪ সালে ‘মহাশাসনধর’, উপাধি প্রাপ্ত হন। এছাড়াও আবুরখীল জনকল্যাণ সমিতি কর্তৃক ‘মহাধর্মনিধি’। বিশ্ব শান্তি, প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদানের কারণে ১৯৯৫ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংগঠন জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি মানবতা ও নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে অমূল্য অবদানের জন্য তাঁকে ‘বিশ্বনাগরিক’ উপাধি প্রদান করেন। এই দুর্লভ উপাধি প্রাপ্তিতে তিনি হয়ে গেলেন বিশ্বজনীন বিশ্বনন্দিত ধর্মগুরু। এই উপাধি দ্বারা তিনি নিজে ও পুরো বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে বিশেষ পুরস্কার ‘একুশ পদক’ লাভ করেন। এখানে বলাবাহুল্য যে তাঁর কর্ম জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল তিনি একজন সর্বত্যাগী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হওয়ার পরও মাতৃভূমিকে স্বাধীন করা ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি ১৯৭১ সালে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে। তবে অস্ত্র হাতে নয়। উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ভালোবাসা ও একান্ত সান্নিধ্যের কারণে এদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, জাপান, কম্বোডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান ইত্যাদি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রে সফর করেছিলেন। জাতির এই ভয়াবহ দুর্দিনে ভারতে আশ্রয় নিয়ে তিনি সেখানে বাঙালি ও ভারতবাসিকে সংগঠিত করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁর দীপ্ত পদচারণায় আমরা আরো দেখতে পাই যে, ১৯৭১ সালে ও পরবর্তীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বদেশ গড়তে ও সদ্বর্মের কল্যাণ সাধনে তিনি একাধিকবার গমন করেছিলেন ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, আমেরিকা, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ইত্যাদি রাষ্ট্রে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যান্তরে ১৯৮২ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিশ্বশান্তি প্যাগোডা প্রতিষ্ঠা করেন। দৃষ্টি নন্দন, অতি মনোরম, মনোমুগ্ধকর ছায়া সুনিবিড় স্নিগ্ধ সবুজ, শান্ত পরিবেশে এই বিশ্বশান্তি প্যাগোডার অবস্থান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাঁর জীবনাবসান পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ টি বছর তিনি এ বিশ্বশান্তি প্যাগোডাতে অবস্থান করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই প্যাগোডায় গত ৩৮ বছরে দেশ ও বিদেশের প্রায় চল্লিশ হাজার কৃতী শিক্ষার্থীবৃন্দ সেখানে অধ্যয়ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে এই প্যাগোডায় আবাসিক ছাত্রাবাসে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এছাড়াও এক জন তত্ত্বাবধায়কসহ ও পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তারা নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। এই প্যাগোডাকে ঘিরে বর্তমানে বৌদ্ধজাদি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সম্প্রতি থ্যাইল্যান্ড থেকে বিশাল দেহী একটি বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন দেশ বিদেশের অনেক পর্যটকের উপস্থিতিসহ বৌদ্ধধর্মীয় নর-নারীদের পদচারণায় তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এ মহাপুরুষ গত ১২ এপ্রিল ২০০২ সালের পরলোক গমন করেন। পরিশেষে, এই মহাপুরুষের সতের তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে জানাই বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা ও বন্দনা। ৫এপ্রিল শুক্রবার, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্বশান্তি প্যাগোডা পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


লেখক : সমীরণ বড়ুয়া, সহকারী শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ

স্বদ্ধায় দানং দেতি! দেখুন শ্রদ্ধা কি?



 'সদ্ধায় তরতি ওঘং' অর্থাৎ শ্রদ্ধায় ভব বা সংসার সাগর অতিক্রম করা সম্ভব। বোধিসত্ত্বের বুদ্ধত্ব প্রার্থনার পর হতে বুদ্ধ হবার অবিকল শ্রদ্ধা ছিল বলে তিনি সম্যক সম্বুদ্ধ হয়েছেন। শ্রদ্ধা কি জিনিস? কর্ম ও কর্মফলের প্রতি আস্থা রাখা, চারি আর্যসত্যকে অনুপুঙ্খ জানার প্রবল ইচ্ছা, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গকে অনুশীলন করার ইচ্ছা, প্রতিত্যসমুৎপাদ নীতিকে জানবার ইচ্ছা, ধর্মশ্রবণ করবার ইচ্ছার নামই শ্রদ্ধা। বৌদ্ধধর্মে শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস হল বুদ্ধের শিক্ষা অনুশীলনের একটি নির্মল, বিশুদ্ধ প্রতিশ্রুতি এবং বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের মতো বিকাশমান আলোকিত পুরুষের প্রতি আস্থা রাখা।

এই শ্রদ্ধা চার রকমের - 

ক) আগম শ্রদ্ধা- ভিক্ষুসংঘ, দীন-যাচকদের সেবা ও উপকার করার ইচ্ছাকে আগম শ্রদ্ধা বলা হয়, 

খ) অধিগম শ্রদ্ধা- লোকোত্তর ধর্মকে আয়ত্বকারী আর্যশ্রাবকগণের(স্রোতাপত্তি, সকৃদাগামি, অনাগামী ও অর্হৎ) মধ্যে যে শ্রদ্ধা সেটাই অধিগম শ্রদ্ধা, 

গ) অবকপ্পন শ্রদ্ধা- বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ উচ্চারণ শুনে যার চিত্তে শ্রদ্ধা উদ্রেক হয় সেটাই অনকপ্পন শ্রদ্ধা, 

ঘ) পসাধ শ্রদ্ধা- চিত্তে যে প্রসন্নতা উৎপাদন করে সেটাই পসাধ শ্রদ্ধা। 

* একজন শিক্ষার্থি হিসেবে তাকে অধ্যয়ন/পড়াশোনার প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে না হয় সে বিদ্যার্জনে সফল হতে পারবে না, 

* একজন ব্যবসায়ি তার যদি ব্যবসার প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে সে ব্যবসায় সফল হতে ব্যর্থ, 

* একজন কৃষক সে যদি কৃষিকাজের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে সে কৃষিকর্মে সফল হতে পারবে না,

* একজন গৃহী সে যদি গৃহকর্ম এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা না থাকে সেই সাংসারিক জীবনে ব্যর্থ, 

* একজন গবেষক, বিজ্ঞানী সে যদি শ্রদ্ধা ছাড়া গবেষণায় প্রবেশ করে শতভাগ সফল হতে পারবে না,  

* একজন সাধক তার যদি সাধনাকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে তিনি অভীষ্ট লক্ষ্য পৌছতে ব্যর্থ। 

এজন্য প্রতিটি চিন্তনে, কর্মে শ্রদ্ধা রেখে কাজ করতে হয়। সেই ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ি, গবেষক, সাধক.... যেই হোক। সকলের অন্তরে শ্রদ্ধাবীজ উদয় হোক।

এক ধার্মিক ব্রাম্মণ আর যুবকের সেদিন কি হয়েছিল।


বারানসি রাজ্যে এক ধার্মিক ব্রাহ্মণ বাস করতেন।ব্রাহ্মণ বিবিধ শাস্ত্রে যেমন সুপণ্ডিত তেমনি তাঁদেরই ঘরে একদিন  জন্ম নিলেন ভাবিবুদ্ধ মহাপূণ্যবান বোধিসত্ত্ব।দেবপুত্রের মতো দিব্য সৌন্দর্যের অধিকারী  এই সন্তান, কেবল  মনোহর আচার ব্যবহারে নহে পিতার মতো সর্ব শাস্ত্রে পারদর্শীতায় তদঞ্চলে সকলের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন খুব অল্প সময়েই।দাস--দাসী সহ সেই পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যাছিল ৬ জন।

🌿 ব্রাহ্মণ তাদের সবাইকে নিয়ে নিয়মিত মরণানুস্মৃতি ভাবনায় রত হতেন।ফলে পরিবারের সকলের আচার নিষ্টা শুচিতা শুভ্রতায় পরিবারের সমগ্র বারণসীতে  অসংখ্য নক্ষত্র মাঝে পূর্ণচন্দ্রের  মতোই পরিদৃষ্ট হতো।কৃষিজীবি এই ব্রাহ্মণ একদিন জঙ্গলের পাশে স্বজমিতে চাষ করতে গিয়ে সেই একমাত্র সন্তানকে জঙ্গল পরিস্কারের কাজে লাগলেন।

🌱 ঘোরতর বিষধর এক সাপ হটাৎ দংশন করলো সেই ব্রাহ্মণ সন্তানকে।চিৎকার দিয়ে ভুমিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। পিতা ছুটে আসলেন;কিন্তু শত চেষ্টাতেও সন্তানের জীবন রক্ষা হলো না।ব্রাহ্মণ, সন্তানকে এক বৃক্ষতলে শুইয়ে রেখে ঘরে সংবাদ দিলেন শুধু একজনের পরিমাণ আহার নিয়ে পরিবারের সবাই আহার করে যেন মাঠে আসে।

🌸 তা--ই--হলো। একমাত্র সন্তানের মৃত দেহ দেখে কারো চোখে জল এলো না।যথা--নিয়মেই সবাই চিতা সজ্জিত করে সন্তানের চিতায় অগ্নি সংযোগ করে পাশে বসে অনিত্য আর মরাণানুস্মৃতি ভাবনায় মনোনিবেশ করলেন। এদিকে ব্রাহ্মণ পুত্র মরণের পর উৎপন্ন হলেন স্বর্গের দেবরাজ  ইন্দ্র হয়ে।

🌿 তিনি স্বচক্ষেই দেখলেন নিজের মৃতদেহ এবং মাতা--পিতাদি প্রিয়জনদের প্রজ্জলিত শ্মশানের পাশে।তখন তিনি সেখানে উপস্তিত হলেন এক ক্ষুধার্ত ব্যাধের বেশে। দূর হতে উচ্চস্বরে এই বলে ক্রমে সকলের     নিকটবর্তী হলেন--আমি অনাহারে সারাদিন ঘুরে ঘুরে কোন শিকার পাইনি।

🌱 দয়াবানেরা ! আপনারাতো মৃগের মাংস পোড়াচ্ছেন। আমি খুবই ক্ষুদার্ত। ওখান থেকে আমাকে কিছু দিন।ব্রাহ্মণ বললেন; ভাই!  এ তো মৃগের মাংস নয়,আমার একমাত্র যুবক পুত্রই মারাগেছে।তার দেহ সৎকার করছি। 

🍃 না,না,। আপনারা আমাকে মাংস না দেয়ার জন্যে মিথ্যা বলেছেন।যদি আপন সন্তানই হতো, কান্নার রোল পড়ে যেতো।অতচ,কারো চোখেই তো এক ফোটা জলও দেখছিনা।ব্রাহ্মণ বললেন, সর্প যেমন জীর্ণ খোলস ত্যাগ করে চলে যায়;আমাদের  পুত্র ও ঠিক তেমনি এদেহ ত্যাগ করে চলে গেছে।

🌱 বিনা আহবানে সে আমাদের কাছে এসে আবার স্বেচ্ছায় চলে গেছে।হাজার ক্রদন করলে ও সন্তান আর ফিরে আসবে না।অতএব মৃত সন্তানের জন্য ক্রদন করে লাভ কি?

🌿 যুবকের পত্নী  বললেন মাতৃক্রোড়ের শিশু যেমন চন্দ্রকে পাওয়ার জন্য ক্রন্দন করলেও তা পাওয়া কখনো সম্ভব নহে;তেমনি এই মৃত স্বামীর জন্যে হাজার ক্রন্দন করলেও তা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নহে।

🍀 যেই মরাণভীতি সকলকে  সর্বদাভীত সন্ত্রস্ত করে, মরাণনুস্মৃতি ভাবনাময় জ্ঞান তাদেরকে এমনই শোক সন্তাপ মুক্ত হওয়ার জ্ঞান ও শক্তি দান করে থাকে।

Friday, August 19, 2022

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনে অরস্থানরত নিবাসীদের পড়াশুনা চলছে।

 


আজ ২০-০৮-২০২২ খ্রীঃ রোজঃ শনিবার। অবস্থানরত নিবাসীদের পড়াশুনা চলছে। 

তবে দুঃস্বহ দিন সন্নিকটে। নিত্যপন্য দাম বৃদ্ধি হওয়ায় প্রতিটি  এতিমখানা আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। বিকল্প ভাবনা করার চেষ্টা অব্যাহত।

আজ গুইমারা ধর্মমিত্র বৌদ্ধ বিহারে অষ্টমি তিথি উপলক্ষে সংঘ দান ও অষ্টপরিষ্কার দান

 


আজ ১৯.০৮.২০২২ খ্রি তারিখে ধর্মমিত্র বৌদ্ধ বিহারে (গুইমারা- ছোট পিলাক) অষ্টমী তিথি উপলক্ষে সংঘ দান ও অষ্টপরিষ্কার দান সহ সমাবেত প্রার্থনা করা হয়। মুলত এদিনটিকে উপলক্ষ করে মাটিরাংগা শাখার ভিক্ষুসংঘগণের বিনয় কর্ম সম্পাদন করা হয়। এহেন পুন্যক্ষণ মুহুর্তকে উপলক্ষ করে ঐ বিহারের দায়ক দায়িকা গন পুণ্য কর্ম করার সুযোগ লাভ করে। উক্ত ধর্ম সভায় বিশেষ স্বধর্ম আলোচনা করেন মাটিরাঙ্গা ভিক্ষু সংঘের অর্থ সম্পাদক ভদন্ত সুবর্ণ ভিক্ষু ও সাধারন সম্পাদক ভদন্ত শিলালঙ্কার ভিক্ষু। তাছাড়া আরো ধর্ম আলোচনা করেন ভদন্ত প্রিয় তিষ্য ভিক্ষু। অনুষ্টানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভদন্ত বিমল তিষ্য থের। এছাড়াও মাটিরাঙ্গা শাখার সকল ভিক্ষু সংঘ গন উপস্থিত ছিলেন। 



🙏🙏 সব্বে সত্তা সুখিতা হোন্তু 🙏🙏

Sunday, August 14, 2022

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনে শোক দিবস উদযাপন। লক্ষীছড়ি, খাগড়াছড়ি।

 পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনে শোক দিবসে উদযাপন। লক্ষীছড়ি, খাগড়াছড়ি।



🇧🇩 মহাণ নেতার প্রতি গভীর সমবেদনা।

🇧🇩 তুমি রবে কোটি মানুষের হৃদয়ে।


__________আজ জাতির শোক দিবস। জাতির পিতার প্রতি শোক দিবসের উপলক্ষে পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনের নিবাসী এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেত 


 প্রার্থনার আয়োজন সহ নিবাসীদের উন্নত খাবার ও নাস্থা পরিবেশন করা হয়। 


🇧🇩 পূর্ণজ্যোতি শিশু সদন, বাইন্যাছোলা, লক্ষীছড়ি, খাগড়াছড়ি। 


Wednesday, August 10, 2022

শ্রাবণী পূর্ণিমার গুরুত্ব ও মৈত্রীময় শুভেচ্ছা।

শ্রাবণী পূর্ণিমা।। বাইন্যাছোলা মৈত্রী বিহার।



🌸 শ্রাবণী পূর্ণিমার মৈত্রীপূর্ণ শুভেচ্ছা


🌼 এ শ্রাবণী পূর্ণিমা দিনেই তথাগত বুদ্ধের পরিনির্বাণের ৩ মাস পরে মগধরাজ অজাতাশত্র'র পৃষ্ঠপোষকতায় অরহত মহাকশ্যপ স্থবিরের সভাপতিত্বে রাজগৃহের বেভার পর্বতের সপ্তপর্ণী গুহায় ৫০০শত অহরত ভিক্ষুর উপস্থিতিতে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি বা ভিক্ষু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই শ্রাবণী পূর্ণিমায় তিথিতে।


🌸 এ শ্রাবণী পূর্ণিমা দিনেই ভগবান বুদ্ধের প্রধান সেবক ধর্মভাণ্ডাগারিক, বহুশ্রুত ভদন্ত আনন্দ স্থবিরের অরহত্ব প্রাপ্তি হয়েছিল এবং ভিক্ষু সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। 


💮 এ শ্রাবণী পূর্ণিমা দিনেই ভগবান মহাকারুণিক তথাগত বুদ্ধ কোশলরাজ প্রসেনজিতের রাজ পুরোহিত ভার্গব পুত্র ভয়ঙ্কর নর হন্তাকারী অঙ্গুলিমালকে জালিবনে স্বীয় ঋদ্ধি শক্তির প্রভাবে ও অহিংস পথে দমন করে ধর্মদীক্ষা দিয়েছিলেন।

Thursday, August 4, 2022

চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদন (অনাথ আশ্রম) উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০২২ খ্রিঃ

➡️ পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনের উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য- শিক্ষার্থীদের কারীগরি দক্ষতা ও মানসিক বিকাশ প্রতিফলনের জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এতে শিশু সদনের সম্পাদক ও প্রতিষ্টানের অধীনে শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।