Contact Form

Name

Email *

Message *

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Thursday, July 13, 2023

পূর্ণজ্যোতি শিশু সদনে জেলা উপপরিচালকের পরিদর্শন।

 পূর্নজ্যোতি শিশুসদনে জেলা উপপরিচালকের পরিদর্শন।

অদ্য ১৩/০৭/২০২৩ খ্রীঃ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের মধ্যে লক্ষীছড়ি উপজেলার একটিমাত্র স্বেচ্ছাসেবী এতিমখানা পুর্ণজ্যোতি শিশু সদন পরিদর্শন করা হয়।

পরিদর্শনে খাগড়াছড়ি জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক মো জসীম উদ্দীন স্বশরীরে উপস্থিত থেকে পরিদর্শন পরিচালনা করেন। পরিদর্শন কালে খাগড়াছড়ি জেলার সহকারী উপপরিচালক মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাশেদ সহ উপজেলার সমাজসেবার সুপারভাইজার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অত্র অত্র এতিমখানার পরিচালক ভদন্ত সুবর্ণ ভিক্ষু সহ প্রতিষ্টানের শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গগন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের সময় উপপরিচালক মহোদয় অত্র প্রতিষ্টানের যাবতীয় আয় ব্যয় এবং অন্যান্য নথি পত্র দেখেন এবং নিবাসীদের সুবিধার্থে প্র্য়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিশেষে বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন এবং ছবিতেও বন্ধী হন। 


Wednesday, March 8, 2023

পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ মাটিরাংগা শাখা নব নির্বাচিত কমিটি- ২০২৩খ্রীঃ

পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ মাটিরাংগা শাখা নব নির্বাচিত কমিটি- ২০২৩খ্রীঃ

আজ ০৮-০৩-২০২৩ খ্রীঃ রোজ বুধবার গুইমারা একযোদা বৌদ্ধ বিহারে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ মাটিরাংগা শাখা ভিক্ষু সংঘের উপস্থিতিতে এক আলোচনা অনুষ্টিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত বিমলতিষ্য থের, অধ্যক্ষ, মাটিরাংগা খেদাছড়া জনকল্যান বৌদ্ধ বিহার।

নবনির্বাচিত মাটিরাংগা শাখার ভিক্ষু সংঘ কমিটির নাম, পদবী উল্লেখ করা হইল।

১. ভদন্ত বিমল তিষ্য থের, সভাপতি।

২. ভদন্ত ধর্মপাল স্থবির, সহ- সভাপতি।

৩. ভদন্ত বুদ্ধরক্ষিত ভিক্ষু, সাধারণ সম্পাদক।

৪. ভদন্ত কুশলপ্রীতি ভিক্ষু, অর্থ সম্পাদক।

৫. ভদন্ত ধর্মানন্দ ভিক্ষু, সহ- অর্থ সম্পাদক।

৬. ভদন্ত প্রজ্ঞাদীপ ভিক্ষু, প্রচার-প্রচারনা সম্পাদক।

৭. ভদন্ত অজিতানন্দ ভিক্ষু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

৮. ভদন্ত মঙ্গলদীপ ভিক্ষু, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

এছাড়াও  ভদন্ত অভিবু স্থবির, ভদন্ত বোধিনন্দ ভিক্ষু,  ভদন্ত শিলালংকার ভিক্ষু, ভদন্ত সুবর্ণ ভিক্ষু, ভদন্ত শরনজোতি ভিক্ষু, ভদন্ত সত্যজোতি ভিক্ষু, ভদন্ত ধর্মদীপ ভিক্ষু, ভদন্ত অনুরুদ্ধ ভিক্ষু সহ কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।





Sunday, March 5, 2023

বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য ও অভিনন্দন হে পুজনীয়....

 বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য ও অভিনন্দন হে পুজনীয়....

অগ্রমহাপন্ডিত উপাধি প্রাপ্ত হলেন-

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের।



 অগ্গমহাসদ্ধর্মজ্যোতিজাধজ উপাধি প্রাপ্ত হলেন-

বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য ২৯ তম সংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো।

Wednesday, February 22, 2023

তথাগতের অকালমৃত্যু হতে পারে না

 তথাগতের অকালমৃত্যু হতে পারে না


#সংঘভেদক_স্কন্ড_চূলবর্গ।

💅 ভিক্ষুগণ শুনলেন, দেবদত্ত ভগবানকে হত্যা করার কার্যে প্রবৃত্ত হয়েছে। তখন তাঁরা ভগবানকে রক্ষা করার এবং আবরণ গুপ্ত রাখার জন্য বিহারের চারদিকে উচ্চশব্দে-মহাশব্দে সূত্রাবৃত্তি করতে করতে পায়চারি করতে লাগলেন। ভগবান উচ্চশব্দে-মহাশব্দে আবৃতির শব্দ শুনলেন। তখন ভগবান আনন্দকে ডেকে বললেন, আনন্দ, এ কীসের উচ্চশব্দে-মহাশব্দে সূত্রাবৃত্তির শব্দ?


💅 ভন্তে, ভিক্ষুগণ শুনেছেন দেবদত্ত ভগবানকে হত্যায় প্রবৃত্ত হয়েছে। তাঁরা ভগবানের বিহারের চারপাশে পায়চারি করে উচ্চশব্দে-মহাশব্দে সূত্রাবৃত্তি করে ভগবানকে রক্ষাবরণ কাজে নিরত হয়েছেন। তারই উচ্চশব্দ-মহাশব্দ, সূত্রাবৃত্তির শব্দ।


💅 আনন্দ তা হলে আমার আদেশে উক্ত ভিক্ষুগণকে বলো, বুদ্ধ আপনাদের ডাকছেন। ‘তা-ই হবে’ বলে আনন্দ ভগবানকে প্রত্যুত্তরে সম্মতি জানিয়ে সেই ভিক্ষুদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁদের বললেন, বুদ্ধ আয়ুষ্মানগণকে ডাকছেন। ‘ঠিক আছে, বন্ধু’ বলে তাঁরা আনন্দকে প্রত্যুত্তরে সম্মতি জানিয়ে ভগবানের কাছে উপস্থিত হয়ে ভগবানকে বন্দনা করে একপাশে বসলেন। একপাশে উপবিষ্ট সেই ভিক্ষুগণকে ভগবান বললেন, 

                     💅 ভিক্ষুগণ, এর কোনো স্থান নেই, এর কোনো সম্ভাবনা নেই যে, অপরের প্রচেষ্টায় তথাগতের জীবননাশ হবে। ভিক্ষুগণ, তথাগত অন্যের প্রচেষ্টা ছাড়া স্বয়ং পরিনির্বাণ লাভ করেন। ভিক্ষুগণ, তোমরা নিজ নিজ বিহারে চলে যাও, তথাগতকে রক্ষার প্রয়োজন নেই। 


 _____[সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু]____

শীল বর্ণনা

 শীল বর্ণনা

🙏 তৎপরে ভগবান পাটলিগ্রামের উপাসকগণকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, (দীর্ঘনিকায়)

              🥀 গৃহপতিগণ, দুঃশীল শীলভ্রষ্টগণের পঞ্চবিধ ক্ষতি; কী কী?


👉 দুঃশীল শীলভ্রষ্টগণ প্রমাদহেতু দারুণ দারিদ্র্যে উপনীত হয়, ইহা প্রথম ক্ষতি।


👉 পুনশ্চ, তাহাদের নিন্দা ঘোষিত হয়, ইহা দ্বিতীয় ক্ষতি।


👉 পুনশ্চ, তাহারা যে সমাজেই প্রবেশ করুক, তাহা ক্ষত্রিয়দিগেরই হউক, অথবা ব্রাহ্মণদিগের, অথবা গৃহপতিদিগের, অথবা শ্রমণদিগেরই হউক। তথায় তাহারা সংকুচিত ও হতবুদ্ধি হইয়া থাকে, ইহা তৃতীয় ক্ষতি।”


👉 পুনরায়, মৃত্যুকালে তাহারা উদ্বেগপূর্ণ হয়, ইহা চতুর্থ ক্ষতি।”


👉 পুনশ্চ, মৃত্যুর পর দেহের ধ্বংসাবসানে তাহাদের পুনর্জন্ম, দুঃখ-দুর্দশা দুর্গতি পূর্ণ হয়। ইহা পঞ্চম ক্ষতি।


🙏 শীলবানদিগের শীলরক্ষার পঞ্চবিধ ফল কী কী?


👉 প্রথমত, তাঁহারা অধ্যবসায়সম্পন্ন হইয়া মহৎ ঐশ্বর্যের অধিকারী হন।”


👉 দ্বিতীয়ত, তাঁহাদের খ্যাতি চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হয়।”


👉 তৃতীয়ত, তাঁহারা যে সমাজেই প্রবেশ করেন, তাহা ক্ষত্রিয়দিগের হউক, ব্রাহ্মণদিগের হউক, গৃহপতিদিগের হউক, অথবা শ্রমণদিগেরই হউক, তথায় তাঁহারা আত্মপ্রত্যয় ও ধৃতিসহকারে প্রবেশ করেন।”


👉 চতুর্থত, তাঁহারা বিনা উদ্বেগে দেহত্যাগ করেন।”


👉 সর্বশেষে, মৃত্যুর পর দেহের ধ্বংসাবসানে তাঁহাদের পুনর্জন্ম সুখময় ও সুগতিসম্পন্ন হয়। শীলবানদিগের শীলরক্ষার এই পঞ্চবিধ লাভ।

🙏সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্ত 🙏

Monday, February 20, 2023

🙏_____[#মাৎসর্য_সূত্র]_____🙏 #সংযুক্ত_নিকায়_সগাথা_বর্গ_কর্ম_বিপাক

 🙏_____[#মাৎসর্য_সূত্র]_____🙏
#সংযুক্ত_নিকায়_সগাথা_বর্গ_কর্ম_বিপাক

#দেবতা_বললেন„

এই জগতে যারা মাৎসর্যপরায়ণ, কৃপণ, তিরস্কারকারী এবং অন্য দাতাদের দানের অন্তরায়কারী, তাদের কিরূপ বিপাক হয়? তাদের পরকাল কিরূপ? তা ভগবানকে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। কিরূপে তা জানতে পারি?’


#ভগবান_বললেন„

এই জগতে যারা মৎসরী বা ঈর্ষাকারী, কৃপণ, তিরস্কারকারী ও দানের অন্তরায়কারী তারা নরক, তির্যকযোনি ও যমলোকে জন্ম গ্রহণ করে। যদি মনুষ্যকুলে জন্ম নেয়, তাহলে দরিদ্রকুলে জন্ম গ্রহণ করে, যেখানে অন্নবস্ত্র, ভোগ-বিলাস কষ্টে লাভ হয়। সেই (হতভাগ্য) মূঢ়গণ পরের কাছে ভিক্ষা করে, তবুও তাদের লাভ হয় না। ইহজীবনে এরূপ পাপফল ভোগ করে আর পরকালে দুর্গতি প্রাপ্ত হয়।


#দেবতা_বললেন„

এ তো এরূপে জানলাম। হে গৌতম, এবার অন্য প্রশ্ন করছি-যারা মনুষ্যজন্ম লাভ করে বদান্য, অকৃপণ এবং বুদ্ধ-ধর্ম-সংঘের প্রতি প্রসন্ন ও গভীর শ্রদ্ধাপরায়ণ, তাদের পরিণতি কিরূপ? তাদের পরকালই বা কিরূপ?’


#ভগবান_বললেন„

যারা মনুষ্য জন্ম লাভ করে বদান্য, অকৃপণ এবং বুদ্ধ-ধর্ম-সংঘের প্রসন্ন ও গভীর শ্রদ্ধাপরায়ণ, তারা স্বর্গে গমন করে স্বর্গকে উজ্জ্বল করে। আর যদি মনুষ্যকুলে জন্ম হয়, তাহলে ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম নেয়, যেখানে সহজেই অন্ন-বস্ত্র, ভোগ-বিলাস লাভ হয়। পরনির্মিত বশবর্তী নামক দেবতাদের মতো তারা আনন্দ উপভোগ করেন। ইহলোকে এই সুফল আর পরকালে সুগতি লাভ হয়।


🙏_______[সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু]_______🙏

ত্রিপিটক_[কী দানকারী সূত্র]

 #ত্রিপিটক_[কী দানকারী সূত্র]
#সংযুক্ত_নিকায়_সগাথা_বর্গ

#দেবতা_বললেন„

কী দানকারী বলদাতা হন, কী দানকারী বর্ণদাতা হন, কী দানকারী সুখদাতা হন, কী দানকারী চক্ষুদাতা হন এবং কিরূপে সর্বদাতা হওয়া যায়?

                     💅আমার এই প্রশ্নের উত্তর বলুন।’


#ভগবান_বললেন„

অন্নদানে বলদাতা হন, বস্ত্র দানে বর্ণদাতা হন, যান দানে সুখদাতা হন এবং প্রদীপ দানে চক্ষুদাতা হন। যিনি ভাবনাকুটির দান করেন, তিনি সর্বদাতা হন। যিনি ধর্মানুশাসন বা ধর্মত উপদেশ ও শিক্ষা দেন, তিনি অমৃতদাতা হন।


____ [সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু] ____

Sunday, February 19, 2023

দুঃখ উৎপন্ন হয় তৃষ্ণা থেকে

 দুঃখ উৎপন্ন হয় তৃষ্ণা থেকে 

সকল সত্ত্বই মনোজ্ঞ বিষয়গুলো খুব প্রবলভাবে পেতে চায়, আর অমনোজ্ঞ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে চায়। এই মনোজ্ঞ বা অমনোজ্ঞ বিষয়গুলো শারীরিকও হতে পারে, আবার মানসিকও হতে পারে, এবং তখনই দুঃখ উৎপন্ন হয় যখন আমরা এগুলোতে আমাদের তৃষ্ণা, আশা, আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হই।

৩. তৃষ্ণার নিরবশেষ ক্ষয়সাধন করার মাধ্যমেই দুঃখকে পুরোপুরি জয় করা যেতে পারে

নির্বাণ হচ্ছে এমন এক শান্তির জায়গা যেখানে যাবতীয় লোভ-দ্বেষ-মোহ এবং তাদেরই সৃষ্ট দুঃখ পুরোপুরি ক্ষয় হয়।

৪. দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার একটিই পথ আছে, আর তা হচ্ছে    আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ

বুদ্ধের শিক্ষা অনুযায়ী, এই মার্গ বা পথে চললে দুঃখকে কমানো যায়, দুর্বল করা যায় এবং পরিশেষে পুরোপুরি ক্ষয় করা যায়। এবং এর মাধ্যমেই নির্বাণ লাভ করা যায়।

মাঝে মাঝে বৌদ্ধধর্মকে বেশ কড়াভাবে সমালোচনা করা হয় এই বলে যে, বৌদ্ধধর্ম বড্ড বেশি দুঃখবাদী; কারণ এই ধর্ম সুখ, আনন্দ এগুলো তুলে ধরার চাইতে দুঃখকেই বেশি তুলে ধরে বলে মনে হয়। যাই হোক, সুখ ও আনন্দ সবকিছুই কিন্তু অনিত্য, চিরস্থায়ী নয়; কারণ সকল সত্ত্বই রোগের অধীন, বার্ধক্যের অধীন ও মরণের অধীন। ফলে সকল সত্ত্বই নিশ্চিতভাবে দুঃখের অধীন।

অন্যদিকে, বুদ্ধ আমাদের যেভাবে দুঃখকে কমানোর বা দুঃখকে জয় করার শিক্ষা দিয়েছেন সেই বিবেচনায় বৌদ্ধধর্ম আসলেই খুব বাস্তববাদী। বুদ্ধোপদিষ্ট আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের পথে চললে যে-কেউ এমনকি এই জীবনেই নির্বাণ সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

সকল সত্ত্বই দুঃখের অধীন

 সকল সত্ত্বই দুঃখের অধীন

দুঃখ হচ্ছে একধরনের নেতিবাচক অনুভূতি যা তীব্র যন্ত্রণাদায়ক, অসন্তোষজনক ও শারীরিক যন্ত্রণাময়। সকল সত্ত্বকে রোগের অধীন করে রাখা, প্রিয় ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার্ধক্য ও মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া, এসবের মধ্যেই দুঃখের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।

কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ ও বুদ্ধ

 কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ ও বুদ্ধ

#বুদ্ধের_চাষ_প্রসঙ্গে_ব্রাম্মন_জানতে_চাই

#কসিভারদাজ_সূত্র_উরগবর্গ_সুত্তনিপাত।

💅 একসময় ভগবান মগধরাজ্যে দক্ষিণ গিরির একনালা নামে ব্রাহ্মণগ্রামে অবস্থান করছিলেন। তখন ব্রাহ্মণ কৃষক ভারদ্বাজের খেতে বীজ রোপনের সময়ে পাঁচশো লাঙল নিযুক্ত ছিল। সে সময় ভগবান চীবর পরে ভিক্ষাপাত্রটা হাতে নিয়ে দিনের প্রথমভাগে কৃষক ভারদ্বাজের কার্যক্ষেত্রে গেলেন। সে সময় ব্রাহ্মণ কৃষক ভারদ্বাজের খাদ্য পরিবেশন চলছিল। এর পর, ভগবান খাদ্য পরিবেশনের স্থানে গিয়ে একপাশে দাঁড়ালেন। কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ ভগবানকে পিণ্ডের জন্য দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে তাঁকে বললেন, ‘হে শ্রমণ, আমি কর্ষণ ও বপন করি, ওইভাবে কর্ষণ ও বপন করে খাদ্য সংগ্রহ করি। শ্রমণ, আপনিও কর্ষণ আর বপন করে জীবিকানির্বাহে নিযুক্ত হোন।’

💅 ভগবান বললেন, ‘হে ব্রাহ্মণ, আমিও কর্ষণ আর বপন করে খাদ্য জোগাড় করি।’ ব্রাহ্মণ বললেন, ‘কিন্তু আমরা শ্রদ্ধেয় গৌতমের জোয়াল, লাঙল, ফাল, যষ্টি, বলদ কিছুই দেখছি না; অথচ শ্রদ্ধেয় গৌতম বললেন, ‘ব্রাহ্মণ, আমিও কর্ষণ আর বপন করে খাদ্য জোগাড় করি।’” তারপর কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ ভগবানকে বললেন, ‘কৃষক বলে আপনি বলছেন, কিন্তু আমরা আপনার কৃষিকাজ দেখছি না; আমাদের জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিন, যাতে আমরা আপনার কৃষিকাজ জানতে পারি।’


💅 উত্তরে ভগবান বললেন, ‘আমার বীজ হলো শ্রদ্ধা, সাধনা হলো বৃষ্টি, প্রজ্ঞা-  যুগ ও লাঙল, বিনয় হলো ঈষ, মন আমার জোয়াল এবং স্মৃতি হলো আমার ফাল ও যষ্টি। আমার কায় ও বাক্য শান্ত, আমি ভোজনে মাত্রাজ্ঞ,  সত্যই হলো নিড়ানি এবং কোমলতা আমার প্রমোচন। বীর্য আমার ভার বহনকারী পশু; নির্বাণে নিয়ে যাবার সময় সেটা আমাকে পেছনে ফিরে দেখে না, আর যেখানে মনস্তাপ নেই সেখানেই আমাকে পৌঁছে দেয়। এভাবে আমার কৃষিকাজ নির্বাহিত হয়, সেটা অমৃতময় ফল প্রদান করে; এই কৃষিকাজ সম্পাদন করলে সর্বপ্রকার দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।


💅 তারপর কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ খুব ভালো সোনার পাত্রে পায়েস ঢেলে ভগবানকে বললেন, পূজনীয় গৌতম, অনুগ্রহ করে পায়েস ভোজন করুন।


💅 ভগবান বললেন, গাথা পাঠ করে যা আমার লাভ হয় তা ভোজনের উপযুক্ত নয়। যথার্থ দর্শনকারীদের পক্ষে এভাবে ভোজন করা ধর্ম নয়। গাথা পাঠ করে যা পাওয়া যায়, বুদ্ধগণ তা গ্রহণ করেন না। ধর্ম যতদিন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এটাই বুদ্ধদের বিনয়।


💅 ভারদ্বাজ বললেন, ‘তা হলে এই পায়েস কাকে দান করব? 


💅 ভগবান বললেন,  হে ব্রাহ্মণ, দেব ও মানবলোকে, মার ও ব্রহ্মলোকে, বর্তমান শ্রমণব্রাহ্মণকুলে, দেবমানবের মধ্যে একমাত্র তথাগত অথবা তাঁর শ্রাবক ছাড়া এমন কাকেও আমি দেখছি না, যে এই পায়েস ভোজন করে হজম করতে পারে। কাজেই, ব্রাহ্মণ, তৃণহীন মাটিতে ছুঁড়ে ফেলুন, কিংবা প্রাণি নেই এমন জলে ডুবিয়ে দিন।


💅 এরপর কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ প্রাণিমুক্ত জলে ওই পায়েস ডুবিয়ে দিলেন। জলে নিক্ষিপ্ত পায়েস হতে হিস্কার শব্দ উৎপন্ন হতে লাগল, বলয়াকারে ধূমশিখা বের হতে লাগল। দিনে উত্তপ্ত ফাল পানিতে নিক্ষিপ্ত হয়ে যেভাবে হিস্কার শব্দ করে, বলয়াকারে ধূমশিখা নিঃসারণ করে, সেভাবে জলে নিক্ষিপ্ত হয়ে সেই পায়েসও জল হতে হিস্কার শব্দ উৎপন্ন করল, বলয়াকারে ধোঁয়া নিঃসারণ করল।


💅 তারপর কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ উদ্দীপিত ও আশ্চর্যাভিভূত হয়ে ভগবানের কাছে গিয়ে তাঁর পায়ে মাথা রেখে বন্দনা করে বললেন, শ্রদ্ধেয় গৌতম, খুবই উত্তম, খুবই উত্তম! যেমন কেউ নিচের দিকে মুখ করে থাকা পাত্রটাকে ওপরের দিকে মুখ করে, পথ-হারানো ব্যক্তিকে পথ দেখায়, আঁধারে বাতি জ্বালিয়ে দেয় যাতে চক্ষুষ্মান ব্যক্তি দৃশ্য বস্তুগুলো দেখতে পায়, সেরূপ ভগবান অনেক প্রকারে ধর্ম প্রকাশিত করেছেন। আমি ভগবান বুদ্ধের, তাঁর প্রচারিত ধর্মের ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংঘের শরণ গ্রহণ করছি। ভগবান আজ থেকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমাকে আপনার শরণাগত উপাসক হিসেবে গ্রহণ করুন। আমি পূজ্যপাদ গৌতমের কাছে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা গ্রহণ করার কামনা করছি।


💅 তারপর কৃষক ভারদ্বাজ ব্রাহ্মণ ভগবানের কাছে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা গ্রহণ করলেন। নব প্রব্রজিত ভারদ্বাজ নির্জনবাসী, অপ্রমত্ত, আগ্রহপূর্ণ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে অতি শিগগির সত্য পথান্বেষী কুলপুত্রগণ যে ধন লাভের আশায় গৃহত্যাগ করে গৃহহীন প্রব্রজ্যার গ্রহণ করেন, সেই অনুত্তর ব্রহ্মচর্য নিজেই জেনে ও উপলব্ধি করে ইহজীবনেই এর পূর্ণ সফলতা সাধন করলেন।

‘জন্মের ক্ষয় হয়েছে, ব্রহ্মচর্য কৃতকার্য হয়েছে, করণীয় কর্ম শেষ হয়েছে, ইহজীবনে আর করার কর্ম কিছুই নেই। এটা জেনে ভারদ্বাজ অর্হত্ত্বের মাঝে অন্যতম হলেন। 


____[সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু]____