Contact Form

Name

Email *

Message *

Sunday, February 19, 2023

দুঃখ উৎপন্ন হয় তৃষ্ণা থেকে

 দুঃখ উৎপন্ন হয় তৃষ্ণা থেকে 

সকল সত্ত্বই মনোজ্ঞ বিষয়গুলো খুব প্রবলভাবে পেতে চায়, আর অমনোজ্ঞ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে চায়। এই মনোজ্ঞ বা অমনোজ্ঞ বিষয়গুলো শারীরিকও হতে পারে, আবার মানসিকও হতে পারে, এবং তখনই দুঃখ উৎপন্ন হয় যখন আমরা এগুলোতে আমাদের তৃষ্ণা, আশা, আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হই।

৩. তৃষ্ণার নিরবশেষ ক্ষয়সাধন করার মাধ্যমেই দুঃখকে পুরোপুরি জয় করা যেতে পারে

নির্বাণ হচ্ছে এমন এক শান্তির জায়গা যেখানে যাবতীয় লোভ-দ্বেষ-মোহ এবং তাদেরই সৃষ্ট দুঃখ পুরোপুরি ক্ষয় হয়।

৪. দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার একটিই পথ আছে, আর তা হচ্ছে    আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ

বুদ্ধের শিক্ষা অনুযায়ী, এই মার্গ বা পথে চললে দুঃখকে কমানো যায়, দুর্বল করা যায় এবং পরিশেষে পুরোপুরি ক্ষয় করা যায়। এবং এর মাধ্যমেই নির্বাণ লাভ করা যায়।

মাঝে মাঝে বৌদ্ধধর্মকে বেশ কড়াভাবে সমালোচনা করা হয় এই বলে যে, বৌদ্ধধর্ম বড্ড বেশি দুঃখবাদী; কারণ এই ধর্ম সুখ, আনন্দ এগুলো তুলে ধরার চাইতে দুঃখকেই বেশি তুলে ধরে বলে মনে হয়। যাই হোক, সুখ ও আনন্দ সবকিছুই কিন্তু অনিত্য, চিরস্থায়ী নয়; কারণ সকল সত্ত্বই রোগের অধীন, বার্ধক্যের অধীন ও মরণের অধীন। ফলে সকল সত্ত্বই নিশ্চিতভাবে দুঃখের অধীন।

অন্যদিকে, বুদ্ধ আমাদের যেভাবে দুঃখকে কমানোর বা দুঃখকে জয় করার শিক্ষা দিয়েছেন সেই বিবেচনায় বৌদ্ধধর্ম আসলেই খুব বাস্তববাদী। বুদ্ধোপদিষ্ট আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের পথে চললে যে-কেউ এমনকি এই জীবনেই নির্বাণ সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

0 comments:

Post a Comment

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের সফলতার চাবিকাটি- ধন্যবাদ পাঠকদের।